আপনি কিভাবে ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন ২০২২
***ফ্রিল্যান্সার হতে চাই***
যারা ফ্রিল্যান্সার হতে চান ?
একটা প্রাথমিক গাইডলাইন গুছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি এটা আপাতত ফলো করুন, কিছুদিন এটা স্টাডি করলে এমনি বুঝতে পারবেন কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয়……
আমি ফ্রিল্যান্সিং এ আগ্রহী, কাজ শিখতে চাই, কি শিখব?
শিখবেন ভালো কথা। আগে জানুন । ইন্টারনেট,গুগুলে সার্চ দিন । হাজারো ওয়েব সাইট এবং ইউটিউব ভিডিও চলে আসবে । প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা করে এক সপ্তাহ পড়ুন, দেখুন ও বুঝতে চেষ্টা করুন । সিদ্ধান্ত নিন, কোন স্কিল আপনার ভালো লাগে। কোন টেকনোলোজি আপনি শিখবেন তা সিদ্ধান্ত নিন।
আর তারপর নিচের প্রশ্নগুলোর নিজে নিজে উওর খুঁজে ও বোঝতে চেষ্টা করুন………
কি শিখতে চান…
কি ভাবে শিখবেন…
কোথায় শিখবেন…
কত দিন লাগতে পারে..
কত দূর পর্যন্ত শিখলে একা একা একটা কাজ করতে পারবেন..
কোন মার্কেট প্লেসে ফ্রিল্যান্সার একাউনট খুলবেন…
কি ভাবে প্রথম কাজ পাবেন ইত্যাদি ।
কম্পিউটার সায়েন্স না পড়েও আপনি ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন । খুব তুখোড় মেধাবী না হলেও ফ্রিল্যান্সিং করা যায় । তবে ইংরেজী ভাষায় কিছুটা দখল থাকা অতি আবশ্যক।
আপনাকে জানতে হবে । সার্চ করুন । কোন গ্রুপের এডমিন মডারেটর বা পরিচিত বড় ভাই আপনাকে কোন কিছুতেই সরাসরি হেল্প করবে না, প্রথমে আপনাকে জানতে হবে তারপর তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারবেন তাই আগে নিজে ইন্টারনেটে সময় দিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করুন। প্রথমে অনেক কিছুই বুঝবেন না তাতে কোন সমস্যা নেই ধারণা ঠিকই পাবেন।
যা লিখে গুগলে, ইউটিউবে সার্চ করতে পারেন—–
Things to learn to become a freelancer?
Skills needed for freelancing?
Online courses for freelancing ?
Top skills for freelancing ?
Top freelancing marketplaces? etc.
ফ্রীলান্সিং স্টার্ট করার পূর্বে কিছু জিনিস মাথায় রাখা ভালো।
১. টেকনোলজি/স্কিলঃ
আপনি কাজ শিখবেন । কতটুকু শিখবেন? যতটুকু শিখলে একটা কাজ নিজে করতে পারেন ততটুকু শিখতে হবে ।
আপনি মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রাম অর্থাৎ বেসিক এক্সেল, ওয়ার্ড এর কাজ জানেন এইটুকু দিয়ে শুধু মাত্র টাইপিং এর কাজ করতে পারবেন যেটা দিয়ে তেমন ইনকাম হবে না, বলতে গেলে এটা দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং হবে না। এই ডাটা এন্ট্রির কাজে খুব অল্প পেমেন্ট পাওয়া যায়, আর মাইক্রোসফট অফিসের কাজ জানলেই ডাটা এন্ট্রি করা যায় না তার জন্য ইন্টারনেট সম্পর্কে বিস্তর ধারণা থাকতে হয় ।
তারপর একটা কাজের জন্য আবেদন করে ৫০ জন বা ১৫০ জন । অথচ যদি আপনি ভিবিএ (ভিজুয়াল বেসিক ফর এপ্লিকেশন) শিখে এক্সেল এর কাজটা প্রোগ্রামিং করে অটোমেশন করতে পারেন তবে ঘণ্টায় ১০-২০ ডলার আয় করতে পারবেন । বুঝাইতে চাইলাম যে, একটু একটু কাজ জানলে ফ্রিল্যান্সার হওয়া যাবে না। তার জন্য নির্দিষ্ট একটা স্কিল এর উপর বিস্তর ধারণা থাকা লাগবে এখানে মাইক্রোসফট অফিস জাস্ট একটা এক্সাম্পল হিসেবে তুলে ধরা হলো।
২. ইংরেজীঃ
টেক স্কিল এর পাশাপাশি আপনাকে ইংরেজী ভাষার উপর দখল বাড়াতে হবে । ফ্রিল্যান্সিং করতে বিদেশী ক্লায়েন্ট বা বায়ারদের সাথে লেখালেখি করতে হয় এবং প্রয়োজনে কথা বলতে হয় । সবই করতে হবে ইংরেজীতে । অতএব ইংরেজি জানতে হবে । আর একটা কথা জেনে নিন, ইংরেজী বলা বা লিখার জন্য খুব বেশি গ্রামার নতুন করে পড়ার দরকার হবে না । আপনি জতগুলা শব্দ জানেন তাই দিয়েই চালিয়ে যেতে পারবেন । আপনার শব্দগুলো বাক্যে কি ভাবে সাজাবেন সেটা দরকার । আর তার জন্যে দরকার অভ্যাস করা ।
এককথায় ইংরেজি ভাষার জন্য আপনাকে মাস্টার হতে হবে না, কিন্তু আপনার কথাগুলো মোটামুটি ভাবে ক্লায়েন্টকে বুঝিয়ে বলা শিখতে হবে এবং ক্লায়েন্টের কথাগুলো স্পষ্টভাবে বুঝতে হবে। যেহেতু বেশিরভাগ কমিউনিকেশন রিটেন বা মেসেজিংয়ে হয় সে ক্ষেত্রে কথা বলা খুব জরুরী না বা তার জন্য খুব ভালো ইংরেজির দরকার হয়না। তবে ভালো ইংরেজি বলতে এবং লিখতে পারলে অবশ্যই এটা খুবই উপকারী। সেক্ষেত্রে অন্য ফ্রিল্যান্সারদের থেকে আপনি ক্লায়েন্টকে খুব দ্রুত এবং সহজেই একটি কাজের জন্য কনভিন্স করতে পারবেন কারণ আমার মতে কমিউনিকেশন স্কিল ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্কিল।
৩. কোথায় কাজ পাবেন?
কাজ শেখা শেষ হলে মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সার একাউনট খুলবেন । আপওয়ার্ক, গুরু, ফ্রিল্যান্সার, ফাইভার, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি । এসব মার্কেটে কাজ শিখার পড়ে নিজের সঠিক নাম দিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে এবং কাজ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জব পোস্টে এপ্লাই করতে হবে বা গিগ তৈরি করতে হবে তবে মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খোলার আগে অবশ্যই ভালোভাবে কাজ শিখে নিতে হবে।

এছাড়াও আরও অসংখ্য কাজের সুযোগ রয়েছে ইন্টারনেটে দুনিয়ায়।
সবশেষে এটা বলতে পারি, উপরের সবকিছু ভালোভাবে ফলো করে যেই কাজ বা ইস্কিল ভাল লাগে বা করতে মজা লাগে সেটা নিয়ে লেগে থাকেন অবশ্যই ভালো কিছু করা সম্ভব। পাশাপাশি ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড বাংলাদেশের বা বিশ্বের অনেক বড় বড় গ্রুপ আছে সেগুলোতে অ্যাড হলে আরো অনেক কিছু জানতে পারবে। গ্রুপে অসংখ্য পোস্ট রয়েছে যেগুলো পরেও অনেক কিছু জানা সম্ভব।
আর কোন পেইড কোর্স বা ট্রেনিং সেন্টার এড হতে চাইলে অবশ্যই বলবো ভালো করে ওই ট্রেনিং সেন্টার সম্পর্কে জেনে তারপরে এডমিশন নেওয়া। বাট আমার পরামর্শ থাকবে ইন্টারনেট থেকে অনেক কিছু প্রথমেই জেনে বুঝে নেওয়া উচিৎ কারণ অনেক ট্রেনিং সেন্টার বলতে গেলে অসংখ্য ট্রেনিং সেন্টার ই ধোকাবাজ। শুরুতেই টাকা নষ্ট না করে আগে ইন্টারনেট থেকে সবকিছু বুঝে তারপর নিজেই বুঝতে পারবে নিজের জন্য কোন কোচিং সেন্টার উপযুক্ত অথবা আদৌ আর কোচিং সেন্টারের দরকার আছে কিনা।